বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
বক্তব্য রাখছেন মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানী।
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানীকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানিয়েছে জ্যামাইকা ইন্টিগ্রেটেড বাংলাদেশী অফিসার্স নেটওয়ার্ক-জীবন। জ্যামাইকায় বসবাসকারী নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ অফিসার্সদের সংগঠন ‘জীবন’ এ উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গত ৯ আগষ্ট, শনিবার দুপুরে স্থানীয় সিরাজী ব্যাঙ্কুয়েট হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তা ও কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার জোহরান মামদানি গত ২৪ জুন অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমোকে পরাজিত করেন। আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে তিনিই বিজয়ী হবেন এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে নিউইয়র্ক সিটিবাসীর মনে।
জীবন’র প্রেসিডেন্ট কারাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমর্থন দান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারী রাসেক মালিক। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পরিচালক ইমাম শামসি আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাসেক মালিক।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জীবন’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ হালিম, সহ প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী মামুন ও মামুন সরদার।
জীবন’র পক্ষ থেকে জোহরান মামদানীকে সমর্থনের পক্ষে একটি পত্র হস্তান্তর করা হয়। জোহরান মামদানী জীবন’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান সংগঠনটির কর্মকর্তাদের। নির্বাচনে তার পক্ষে বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটির অবদানের কথা স্মরণ করেন তিনি। জোহরান মামদানী নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী হিসেবে তার ভবিষ্যত মিশন ও ভিশন সম্পর্কে আলোচনা করেন। বিশেষ করে সিটির মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন তার অন্যতম লক্ষ্য হবে জানান তিনি। সিটিবাসীর নিরাপত্তা, পুলিশের জনবল ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতিকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন মামদানি। তিনি বলেন, মেয়র হিসেবে তিনি নিউইয়র্ক সিটির শিক্ষা, আবাসন, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানান।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন মামদানি। প্রাইমারি বিজয়ের মধ্য দিয়ে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন প্রাইমারিতে পরাজিত এন্ড্রু ক্যুমো ও বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস। এ দু’জনেই ডেমোক্রেটিক পার্টির হলেও লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। এছাড়া রিপাবলিকান প্রার্থী সালওয়াও রয়েছেন নির্বাচনী দৌড়ে। নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম মুসলিম প্রার্থী জোহরান মামদানী বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটিতে ইতোমধ্যেই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশীরা তার নির্বাচনী প্রচারণায় ও তহবিল সংগ্রহের কাজেও পালন করছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এরই অংশ হিসেবে জীবন সরাসরি সমর্থন জানিয়েছে জোহরান মামদানীকে।
যে যাত্রা শুরু হয়েছে আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্য দিয়ে তার পূর্ণতা নিশ্চিত করতে সকলের প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মামদানি। তিনি বলেন, আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ অটুট রেখে সিটি হলের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
জীবন’র প্রেসিডেন্ট কারাম চৌধুরী বলেন, সকল বাধাবিপত্তি পেরিয়ে জোহরান মামদানি হবেন নিউইয়র্ক সিটির পরবর্তী মেয়র। তিনি সবাইকে আগামী ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জোহরানকে জয়ী করার আহ্বান জানান। পরবর্তী মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানী বিশ্বের শ্রেষ্ঠ এ নগরীর সকল মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কারাম চৌধুরী।
তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জীবনের কোষাধ্যক্ষ-পঙ্কজ রায়, সহকারী কোষাধ্যক্ষ-অনিক ইসলাম, মিডিয়া লিয়াজোঁ-পাপিয়া শারমিন, ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর হাসান আহমেদ পলাশ, রাজিব ঘোষ, এ্যাডভাইজার সাজেদুর রহমান, ডক্টর সুজাত খান, এম ডি আলী, মনজুর রহমান, রিয়েল স্টেট ইনভেস্টর-আরিফ হোসেন, এমডি এ মাসুম, এজাজ হোসেন, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডাঃ ওয়াজেদ খান, হাকিকুল ইসলাম খোকন, এমডি হক, এম ডি রহমান, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ফাহাদ সোলায়মান,অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান, ডাঃ ইসলাম, এমডি হাসান প্রমুখ।
Posted ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh